বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৯

ফেইজবুক আশির্বাদ নাকি অভিশাপ ?

বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। প্রাচীন যুগ, লৌহ যুগ পাড়ি দিয়ে আদম সন্তান এখন যান্ত্রিক যুগে বাস করছে। মূলত এই যান্ত্রিক যুগের সূচনা বিগত শতাব্দীর আশির দশকে। ৩০ বছরে পৃথিবীর যে রূপ বৈচিত্র্য লাভ করেছে, তা ৩০০ বছরেও সম্ভব হয়নি। পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে জ্ঞানবিজ্ঞান আবিষ্কার অর্জনের মধ্য দিয়ে। পৃথিবীর এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বিপ্লবী ভূমিকা রাখছে সারাবিশ্বের তরুণসমাজ। পৃথিবী তারুণ্যের হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিতে এবং সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের তরুণরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন ফেসবুক-ইন্টারনেটে। কী করছেন ফেসবুকে বাংলাদেশের তরুণরা? জ্ঞানচর্চা? তথ্য সংগ্রহ? নাকি অন্যকিছু?
প্রযুক্তির কল্যাণে ফেসবুক আজ সর্ববৃহত সামাজিক নেটওয়ার্ক ।  এ নেটওয়ার্ক এখন এতটাই জনপ্রিয় যে, যাবতীয় সামাজিক যোগাযোগ ছাড়াও অনলাইন মার্কেটিং এবং বিভিন্ন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে এটিকেই বেছে নেয়া হয় ।  সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম একটি মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক আজ প্রতিষ্ঠিত।  কিন্তু ফেসবুকের একদিকে যেমন ভালো দিক রয়েছে, তেমনি রয়েছে মন্দ দিকও ।
ja
আবিষ্কার নির্দিষ্ট কোনো স্থান বা পাত্রের জন্য নয়। প্রতিটি আবিষ্কার করা হয় মানব কল্যাণের জন্য । হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় পড়া কালিন সময়ে মার্ক জাকারবার্গ ২০০৩ সালের ফেইসবুকের পূর্বসূরী সাইট ফেইসম্যাপ তৈরী করেন। ফেইসম্যাপ সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে ২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসে মার্ক জাকারবার্গ তান নতুস সাইট কোড লেখার কাজ শুরু করেন এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে “দ্যা ফেইজবুক ডট কম” প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন ব্যবহার কারীর সংখ্যা ছিল ১০ লাখ । তারপর ২০০৫ সালে ”দ্যা ফেইজবুক ডট কমের” নাম পরিবর্তন করে নাম রাখা হয় ”ফেইজবুক”। ২০০৬ সালে ফেইজবুক ব্যবহার কারীর সংখ্যা ছিল ৫৫ লাখ। পরে ফেইজবুকের সাথে মাইক্রোসফট সম্পর্ক স্থাপন করে এবং তারপর সর্বসাধারণের জন্য ফেইজবুক উন্মুক্ত করা হয়। ২০০৭ সালে এর ব্যবহার কারীর সংখ্যা দাড়ায় ২ কোটি। ২০০৮ সালের এপ্রিলে ফেইজবুক চ্যাট চালু হয় এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাড়ায় ১০ কোটিতে। তারপর ২০০৯ সালে ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাড়ায় ৩৫ কোটি। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে পৌছায় ৫৫ কোটিতে। আর বর্মানে ফেইজবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা শতকোটি পেরিয়ে সহস্র কোটিতে ছুই ছুই করছে।
বর্তমানে পৃথিবীর ৪২.২ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহারের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। ধারণা করা হয়েছিল ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক লোক ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আসবে | বিটিআরসির (BTRC) হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে ২০১৫ সালের আগস্টে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় চার কোটি আট লাখ। ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় তিন কোটি। প্রতি ১২ সেকেন্ডে একটি করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে যেটা বাংলাদেশের জন্মহারের চেয়েও বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় সাত কোটি ৷ আর মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ কোটিরও বেশি ৷ সাত কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর  ছয় কোটিই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন মোবাইল ফোনে ৷ এই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রায় তিন কোটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসবে ফেসবুক ব্যবহার করে ৷
বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর মধ্যে ফেসবুকই বেশি জনপ্রিয় ৷ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বড় একটি অংশ বয়সে তরুণ ৷ তারা প্রধানত এটাকে পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করলেও এর বাইরে এর নেতিবাচক ব্যবহারও কম হয় না ৷
b
তরুণদের কাছে নিজেদের ভাবনা-চিন্তা তুলে ধরার জন্য এখন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম একটি সহজ প্ল্যাটফর্ম ৷ প্রতিদিন তারা কোন ইস্যুকে প্রধান্য দিচ্ছে তা-ও বোঝা যায় এই মাধ্যম থেকে ৷ তাদের কোনো মন্তব্য বা প্রচারণা ভাইরাল হয়, কোনো ভিডিও ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে ৷
নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামলকান্তির অবমাননার প্রতিবাদ তরুণরাই প্রধম করেছে ফেসবুকে ৷ তারপর সেই অবমাননার ভিডিও এবং ছবি ভাইরাল হলে সক্রিয় হয় মেইন স্ট্রিম মিডিয়া ৷ অ্যাকশনে যায় রাষ্ট্র, সরকার ৷
সিলেটে শিশু রাজন হত্যার বিচারও সম্ভব হয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের তরুণ অ্যাক্টিভিস্টদের কারণে ৷ আর শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের কথা তো সবারই জানা ৷ ফেসবুক ব্যবহারকারী তরুণরাই এই আন্দোলন গড়ে তুলোছিলেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে ৷এখন বাংলাদেশে ফেইজবুকে লাইভ ভিডিওর সুযোগ দেয়ায় কেউ কেউ ফেইজবুকে লাইভ করেও হয়ে উঠছেন সেলিব্রেটি ৷ ফেইজবুকে কার কত ফলোয়ার তা নিয়েও আছে প্রতিযোগিতা ৷ এছাড়াও ফেইজবুকের ভালো কিছু দিক রয়েছে । যেমন-
দ্রুত সময়ে তাতক্ষণিক যোগাযোগ । সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম।পুরনো বন্ধু / বান্ধবী খুজে পাওয়ার নির্ভরযোগ্য মাধ্যম । নতুন বন্ধু / বান্ধবী তৈরী করার উতকৃষ্ঠ পন্থা ।  অনলাইন মার্কেটিং এর বিশেষ মাধ্যম । যেকোন বিষয় শেয়ার করার উল্লেখযোগ্য স্থান।পরামর্শ দেয়া নেয়া এবং গ্রুপের মাধ্যমে আলাপ আলোচনার সুযোগ। একডেমিক বিষয়গুলো বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপের মাধ্যমে জানা এবং জ্ঞানার্জন ।  ছবি, ভিডিও এবং নিজের অবস্থান প্রকাশের তাতক্ষণিক মাধ্যম ।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম নিয়ে কাজ করে কনটেন্ট ম্যাটার্স ৷ ঢাকার কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে তরুণরা এখানে কী  করেন, কী ধরনের পোস্ট দেন, কী শেয়ার করেন – এ সব পর্যকেক্ষণ করে ৷ এ সব তথ্য তারা নানা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করে ৷ প্রতিষ্ঠানটি  জানায়, ‘‘আমাদের পর্যবেক্ষণ বলছে, যারা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করেন, বিশেষ করে তরুণরা, তাদের  শতকরা ৭০ থেকে ৮০ ভাগই ব্যাক্তিগত তথ্য, ছবি বা অনুভূতি শেয়ার করেন ৷ শেয়ার করে তারা তাদের ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটাতে চান, অবস্থার জানান দিতে চান ৷ তবে এটা করতে গিয়ে কেউ কেউ ভাষার ব্যবহার বা ছবি ও কনটেন্ট ব্যবহারে অসতর্কতার পরিচয় দেন, অথবা অসততা করেন ৷
আরো জানায়, ‘‘তবে নতুন একটি প্রবণতা গড়ে উঠছে ৷ আর তা হলো, ফেসবুক ব্লগিং৷ রাজনীতি, অর্থনীতি, সাহিত্য এবং সামাজিক বিষয় নিয়ে আগে তরুণরা যা ব্লগে লিখতেন, তা এখন ফেসবুক স্ট্যাটাসেই লিখেন ৷ সেখানে মন্তব্য আসে ৷ পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক হয়
বাংলাদেশে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে ৷ এ ধরনের সাইবার অপরাধের এখনও প্রধান শিকার নারী ৷ তবে জঙ্গিরাও এই মাধ্যম ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ ও হুমকি দিচ্ছে ৷ এই মাধ্যম ব্যবহার করছে প্রতারকরাও ৷
d
জঙ্গিরা এখন অনলাইন বা ইন্টারনেটকে তাদের যোগাযোগ ও সাংগঠনিক কার্যক্রম বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে ৷ পারস্পারিক যোগাযোগ থেকে শুরু করে উগ্র ধর্মীয় মতবাদও প্রচার করছে অনলাইনে ৷ পুলিশের কথায়, এ সব পেজের অ্যাডমিন বা ব্যবহারকারীরা বেশিরভাগই বিদেশে অবস্থান করে ৷ ফলে তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয় না ৷
ফেসবুকের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্লগ ও ওয়েবসাইটেও চলছে ধর্মীয় উগ্র মতবাদের প্রচারণা৷ এর আগেও বেশ কিছু ফেসবুক পেজ, আইডি, ব্লগ আর ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়েছে ৷ কিন্তু একটি বন্ধ করা হলে জঙ্গিরা নতুন নামে আরেকটি পেজ বা আইডি খুলে একই কাজ শুরু করছে ৷ পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, জঙ্গিরা নাকি অনলাইনের মাধ্যমে সদস্যও সংগ্রহও করছে ৷
e
আজকাল অনলাইনে কেনাকাটা করছেন অনেকে ৷ এরজন্য নাম, ঠিকানা, ই-মেল, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ইত্যাদি দিতে হয় ৷ সমস্যাটা সেখানেই ৷ যেসব ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো নয়, সেখানে এই তথ্যগুলো দিলে তা অপরাধীর কাছে চলে যাবার সম্ভাবনা থাকে ৷ সেক্ষেত্রে অপরাধী আপনার তথ্য ব্যবহার করে আপনার ক্রেডিট কার্ড শূন্য করে দিতে পারে ৷ কারণ আপনার যে পরিচয় চুরি হয়ে গেছে।
বাংলাদেশে ব্লগার হত্যাসহ লেখক-প্রকাশক হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে ফেসবুকের মাধ্যমে ৷ আর হত্যার পর দায় স্বীকারের সময়ও ব্যবহার করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ৷ গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে ২০ জনকে হত্যার কথা জঙ্গিরা সামাজিক যোগাযোগোর মাধ্যমেই প্রকাশ করে ৷ এছাড়া হত্যাকে সমর্থন করে পরবর্তীতে তিনজন জঙ্গির ভিডিও বার্তাও ছড়ানো হয় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ৷ পুলিশ জানায়, নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর প্রথম উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের অ্যাপসকে ৷
সাইবার হয়রানি থেকে সুরক্ষা দিতে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগে একটি ‘সাইবার হেল্প ডেস্ক’ রয়েছে ৷ এই হেল্প ডেস্কে গত দু’বছরে ১৭ হাজারেরও বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে ৷ অভিযোগকারীদের ৭০ ভাগই নারী৷ আরও সুর্দিষ্ট করে বললে, নারীদের অভিযোগের ৬০ ভাগেরও বেশি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুককে কেন্দ্র করে ৷
f
এরমধ্যে ১০ ভাগ অভিযোগ সত্যিই ভয়াবহ ৷ এর মধ্যে রয়েছে অন্যের ছবিতে ছবি জুড়ে দেওয়া (সুপার ইম্পোজ) এবং পর্নোগ্রাফি ৷ ইউটিউব ও বিভিন্ন সাইটে এ সব পর্নোগ্রাফি ও ছবি ‘আপলোড’ করার হারও বেড়ে চলেছে ৷ এছাড়াও ফেসবুকের আরো  কিছু খারাপ দিক রয়েছে । যেমন-
ফেসবুকের মূল উদ্দেশ্য ব্যহত করে ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার সুযোগ। অপরিচিত লোকের সাথে বন্ধুত্ব করে বিপথগামী হওয়ার আশঙ্কা প্রচুর। অপরিচিত বন্ধু বান্ধব তৈরী করে তাদের সাথে নিজের সব বিষয় শেয়ার করা। ফেসবুকের নেশায় পড়ায় অমনোযোগী অপার সম্ভাবনা । রাত দিন বিভিন্ন স্ট্যাটাস শেয়ারের মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিত্বকে তুচ্ছ করার সুযোগ। ফেসবুককে জীবনের অন্যতম অংশ ভেবে নিজের পরিবার পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা । । যখন তখন নিজের প্রয়োজনীয় কাজকে তুচ্ছ করে ফেসবুকেই নিমগ্ন থাকা। পরিবার পরিজনের সাথে একসাথ হলেও ফেসবুকের নোটিফিকেশন, লাইক দেয়া, কমেন্টস করার মাধ্যমে কাছাকাছি থেকেও দূরবর্তী  স্থানের মানুষ হতে হয় । । ফেসবুকের পরিচিত / অপরিচিত সদস্যরা মাঝে মাঝে বিভিন্ন অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ফলে সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় সৃষ্টি হয় । । ভুয়া আইডি তৈরী করে ফেসবুক ব্যবহারের মাধ্যমে অসামাজিক কার্যকলাপ বাড়ার আশঙ্কা । । সর্বোপরি সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কাঙ্খিত পথে সে সময় দেয়া প্রয়োজন, শুধুমাত্র ফেসবুকেই সে সময় দিয়ে ব্যর্থতার পাল্লা ভারী হওয়ার যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে ।
বর্তমানে বাবা মা ভাই বোন সবাই একসাথ হলেও বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ভাই স্ট্যটাসে কমেন্ট করা নিয়ে ব্যস্ত, বোন ছবি আপলোড নিয়ে ব্যস্ত আবার বাবা কিংবা মা ফোনে কথা বলা নিয়ে ব্যস্ত ।  একসাথে দেখেও সবাই দূরে দূরে । এমন অবস্থা শুধু পরিবারেই নয়, বন্ধু বান্ধবদের সাথে আড্ডা দেওয়ার সময়ও পরিলক্ষিত হয়।  এমন অবস্থা তৈরীরর পেছনে ফেসবুকের যথেষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে ।
ফেসবুক একদিকে যেমন দিয়েছে বেগ, তেমনি কেড়ে নিয়েছে আবেগ । ফেসবুকের কল্যাণে আমরা আজ আমাদের পরিবার পরিজন থেকেও দূরে সরে গেছি ।  পরিবারের লোকজন আমাদের কাছ থেকে কাঙ্খিত সময় পায় না ।  ফলে সামাজিক অবক্ষয়, পাবারিক ভাঙ্গন এসব প্রকট হয়ে পড়ে । পাশাপাশি ফেসবুকের নেশায় মত্ত হয়ে আজকের তরুণ সমাজ পড়াশোনা থেকেও দূরে সরে যায়, ফলে তাদের মেধাটাও ভিন্নখাতে প্রবাহিত হচ্ছে ।  এতে কাঙ্খিত মেধাবী ঝড়ে পড়ছে এবং ফেসবুকের নেশা ছাড়তে না পেরে আমাদের তরুণ সমাজ পর্যায়ক্রমে আরো অবক্ষয়ের দিকেও ধাবিত হচ্ছে ।  তাই প্রযুক্তির কল্যাণে ফেসবুকের কাঙ্খিত ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন ।
ভালো কাজে ফেসবুক ব্যবহার যেন আমাদের সবসময়ের প্রত্যাশা হয় ।   ফেসবুককে নেশার বস্তু না বানিয়ে আমরা স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা যেন এটাকে আমাদের কল্যাণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করি। সামাজিক যোগাযোগের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে তার মূল্যায়ন যেন করা হয়, আমরা যেন এ ফেসবুককে সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ না বানিয়ে সুষ্ঠু সুন্দর সমাজ নির্মাণের মূল চালিকা শক্তি হিসাবে ব্যবহার করতে পারি এমন প্রত্যাশাই থাকুক সব সময়ের জন্য ।
একটি গ্লাসে যেমন মদ খাওয়া যায়, তেমনি খাওয়া যায় বিশুদ্ধ পানি ।  পানি কিংবা মদের জন্য  যেমন কোনভাবেই গ্লাসকে দায়ী করা যায়না, তেমনি মন্দ কাজে ব্যবহারের জন্য দায়ী করা যাবেনা ফেসবুককে।  সুতরাং সচেতন হতে হবে আমাদের তরুণ সমাজকে ।

s@copy

রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৪

নাম ছাড়া ফোল্ডার তৈরী করুন.........

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালোই আছেন। আজ আপনাদের মাঝে এলাম নাম ছাড়া ফোল্ডার তৈরী করবেন যেভাবে … 


নাম ছাড়া ফোল্ডারবানাতে চাইলে নিচেরনিয়মটি অনুসরন করুন-


1. একটি ফোল্ডারতৈরি করুন যে কোননামে।


2.এবার ফোল্ডারটি সিলেক্টকরে কী-বোর্ড থেকে F2 চাপুনঅথবা ফোল্ডারটির উপরমাউসের রাইটবাটনক্লিক করে Rename এ ক্লিককরুন।


3. এবার কী বোর্ডথেকে Alt(right)কীচেপে ধরে রেখে কীপ্যাডহতে 0160 চাপুন।


4. Altকী ছেড়ে দিন।তাহলে ফোল্ডারেরনামটি মুছে যাবে তখনকী বোর্ডহতে Enter প্রেস করুন।


5. ব্যাস কাজ শেষ,নামছাড়া ফোল্ডার তৈরী।


পিসির হারিয়ে যাওয়া ডাটা ফিরিয়ে নিন খুব সহজে !!

আসসালামু অলাইকুম বন্ধুরা , আজকে আমি আপনাদের সাথে দারুন একটি ডাটা রিকভারি সফটওয়্যার শেয়ার করবো । এর আগেও আমি সুন্দর একটি ডাটা রিকভারি সফটওয়্যার শেয়ার করেছিলাম সেটাও খুব কাজের তেমনি আজকের টাও দারুন । আজকের ডাটা Recovery সফটওয়্যারটির নাম MiniTool Power Data Recovery একদম লেটেস্ট সঙ্গে ফুলভার্সন টিপস । কি কি রিকভারি করতে পারবেন একনজর দেখে নিন – আপনি এই ডাটা Recovery সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনার ডিলিট যেকোনো ফাইল , ভিডিও , পার্টিশন কড়া ড্রাইভ ডাটা , সিডি – ডিভিডি ডাটা , মেমোরি ডাটা ইত্যাদি ডিলিট ডাটা খুবি সহজে ফিরিয়ে আনতে পারবেন । তাহলে নিচে থেকে দেখে নিন কিভাবে ফুলভার্সন ব্যবহার করবেন ।

উপরের ফটো দেখে বুঝতেই পারছেন ঠিক কি কি সুবিদা পাছেন সফটওয়্যারটিতে চিন্তা নেই নিচে আরও বিস্তারিত দেওয়া হল ।

অফিসিয়াল লিঙ্ক নিচে

কিভাবে ফুলভার্সন করবেন !
  • প্রথমে উপর থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করুন ।
  • এবার সাধারন ভাবেই ইন্সটল করুন ।
  • এবার সফটওয়্যার টিকে ওপেন করে Register এ ক্লিক করুন ।
  • এবার নিচের সিরিয়াল নাম্বার গুলো সেখান বসিয়ে Register এ ক্লিক করুন ।
সিরিয়াল কী পেতে এখানে ক্লিক করুন

সিস্টেম Requirements:
486 processor
IDE/SATA/SCSI hard drive
256 MB RAM (512 MB recommended)
A mouse is required.
A second hard disk is recommended for recovery.
☞ সফটওয়্যার এর ব্যবহার খুবি সাধারন যেধরনের ফাইল রিকভারি করতে চান তাতে ক্লিক করুন ব্যাস বাকি নিজেরাই বুঝতে পারবেন , তাছাড়া কোন সমস্যা হলে আমি আছি যানাবেন আমি হেল্প করবো ।
তাহলে আজকের মতো এই পর্যন্ত পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন । ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ।আল্লাহ্‌ হাফেজ ।

মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

জেনে নিন কি কারণে ফেসবুক আইডি ব্লক হয় ও এর থেকে বাঁচার উপায়।

কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভাল। অনেক দিন পিসিহেল্প এ লিখছি।
আজ একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট লিখছি। কারণ এই সমস্যা সম্মুখীন অনেকেই হয়েছে। আমি নিজেই অনেকের এই সমস্যার সমাধান করতে চেষ্টা করেছি। বর্তমানে অনেকের ফেসবুক আইডি ব্লক হচ্ছে এবং হবে। এর কারণ ফেসবুকে অনেক বেশি ইউজার থাকার কারণে তারা এখন ভুয়া আইডি বন্ধ করার চেষ্টা করতেছে। কিন্তু এর ফলে অনেক আসল আইডিও ব্লক হয়ে যাচ্ছে। এই রকম অনেকেই আছে যাদের একটি নয়, কয়েকটি আইডি ব্লক হয়েছে।  এই বিষয় নিয়ে যারা এর সম্মুখীন হয়েছেন তারা খুব ভালোভাবে উপলব্দি ও করেছেন। কিন্তু কিছু বিষয় খেয়াল করলে আপনি আপনার আইডি ব্লক হওয়া থেকে বাঁচতে পারবেন।
আসুন তাহলে জেনে নিই। ফেসবুক যেকারনে আইডি ব্লক করে তার মধ্য অন্যতম হচ্ছে অতিরিক্ত ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট। কারণ আপনি যদি বেশি ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠান তাহলে ফেসবুক মনে করে আপনি ভুয়া। আর তার চেয়েও বেশি দায়ী হল যেসব মানুষ এই ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট গ্রহণ করে না। কারণ হল যদি আপনার পাঠানো ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট যদি বেশি পরিমাণ পেন্ডিং থাকে, তাহলে আপনার আইডি আরও তাড়াতাড়ি ব্লক হবে। তাই এই পেন্ডিং ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট গুলো বাদ দিলে আপনার আইডি অনেকটা ঝুঁকি মুক্ত হবে।
কিন্তু এখন কথা হল আপনি তো জানেন না যে কে কে আপনাকে পেন্ডিং করে রাখছে!! অনেকেই দেখি বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে দেখতে বলে। কিন্তু এতে কোন লাভ হয় না। এখন আমি আপনাদের খুব সহজে শিখিয়ে দিবো কিভাবে পেন্ডিং ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দেখবেন এবং পেন্ডিং ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট বাদ দিবেন।
ছবিতে লাল দাগ দেয়া জায়গায় ক্লিক করুন।

তারপর নিচের ছবি খেয়াল করুন। Find Friends এ ক্লিক করুন।

তারপর নিচের ছবি খেয়াল করুন। View Sent Requests এ ক্লিক করুন।

ব্যস হয়ে গেল। এই বার আপনি দেখুন কতজন আপনার ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পেন্ডিং করে রেখেছে। এক এক করে সব ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট বাদ করে দিন।
প্রথম দিকে কয়েকটা দেখাবে। একটু নিচে নামলে See More Request একটা লেখা থাকে সেখানে ক্লিক করুন।

এইটাতো গেল প্রথম কাজ। ২য় কাজ হল আপনাকে অনেকে বিভিন্ন ছবি ট্যাগ করে দেয়। পারলে এইসব ট্যাগ করা ছবি আনট্যাগ করে নিবেন। আর কেউ যদি কোন ছবি ট্যাগ করলে সাথে সাথে আনট্যাগ করে নিবেন।
আর যারা মানুষকে ছবি ট্যাগ করেন, তাদেরকে অনুরোধ করব, যত পারেন কম ট্যাগ করতে চেষ্টা করেন। আপনি হয়ত জানেন না এতে অনেকে বিরক্ত হয়।

সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৩

আসুন একটি Restart Shortcut বটন তৈরি করি এবং পিসি রিস্টার্ট করি আরও সহজ ভাবে । [ আশাকরি সবাই দেখবেন কাজের একটি পোস্ট ]

বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে যে বিষয় নিয়ে পোস্ট করছি এটা সত্যি খুব মজার একটি বিষয় , আমার যানি উইন্ডোজ এর সাথেই তো রিস্টার্ট বাটন আছে সেটা আমিও যানে কিন্তু কে না চাই একটু নতুন কিছু ব্যবহার করতে । আজকে আমি আপনাদের যে পধতি দিবো রিস্টার্ট বাটন তৈরি করতে এই দ্বারা আপনি ইছা করলে সময় নিধারিত করে দিতে পারেন মানে আপনি ভাবছেন এখুন থেকে ১০ কি ১৫ সেকেন্ড এর মধ্যে আপনার পিসি রিস্টার্ট হবে তাহলে সেটাই হবে । কি মনে হছে খুব মজার জিনিস আমার তো খুব ভাল লেগেছে তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি । তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন মূল কাজে যাই । 

Screenshot_7


১ // প্রথম আপনি আপনার মাউস এর রাইট ক্লিক করুন আপনার পিসি ডেস্ক টপ এর উপরে , তারপর New এ ক্লিক করে Shortcut এ ক্লিক করুন । নীচের চিত্রে দেখুন …

Screenshot_1




২// এবার যে বক্স আসবে সেখানে এই কোড টি কপি করে পেস্ট করুন >> shutdown.exe -r -t 00 -f  তারপর Next এ ক্লিক করুন । নীচের চিত্রে দেখুন …

Screenshot_2



৩// উপরে সব ঠিক ভাবে করে Next এ ক্লিক করলেই নীচের মতো  আবারও একটি বক্স আসবে সেখানে Shut down পরিবর্তন করে সেখানে Restart লিখে Finsh এ ক্লিক করুন । নীচের চিত্রে দেখুন

Screenshot_3



৪// ব্যাস আপনার কাজ শেষ এবার আপনার ডেস্ক টপ এ দেখুন রিস্টার্ট বাটন চলে এসেছে তাতে ক্লিক করুন দেখুন রিস্টার্ট হবে । 


=>> এবার দেখে নিন কিভাবে সময় সেট করবেন মানে আপনি হয়তো ভাবছেন এখুন থেকে ১০ কি ২০ সেকেন্ড পর আপনার পিসি রিস্টার্ট করবেন তাহলে নীচের পধতি লক্ষ করুন । 

৫//  উপরের মতোই সব ঠিক করবেন শুধু আমি উপরে যে কোড দিয়েছি সেটি কে পরিবর্তন করুন মানে উপরের কোডে দেখুন shutdown.exe -r -t 00 -f  দুটি ০০ আছে সেটিকে মুছে সেখানে আপনি কতক্ষণ পর পিসি রিস্টার্ট করতে চান সেই টাইম বসান । 

=>> আপুন বাটন এর আইকন পরিবর্তন করে নিই আশাকরি আইকন পরিবর্তন করতে সবাই জানি তবে যারা নতুন তারা হয়তো জানেন না , দেখে নিন কিভাবে আইকন পরিবতন করবেন । 

৬// যে রিস্টার্ট বাটন এখুনি বানালেন তার উপর রাইট ক্লিক করে Properties এ ক্লিক করুন তারপর Change icon এ ক্লিক করে একটি আইকন পছন্দ করে ওকে করে দিন । নীচের চিত্রে দেখুন …

Screenshot_6


=>> ব্যাস কাজ শেষ তাহলে আজকের মতো এই পর্যন্ত সামনের দিনে দেখাবো কিভাবে Shut down বাটন বানাবেন । ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন কোন সমস্যা হলে যাবেন আমি হেল্প করতে চেষ্টা করবো । আল্লাহ্‌ হাফেজ । 

image-DB23_50DDFD94

মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৩

আপনার কিবোর্ড কি কথা বলে? আমার টা তো বলে ! মাত্র ৬৬৮ কেবি। Talking Keys

আশাকরি নিশ্চই আপনার সবাই ভাল আছেন । অনেক দিন পর লিখতেছি । সময় পাচ্ছি না, তাই লিখা হচ্ছেনা। এখন থেকে নিয়মিত লিখব। তো সোজা কাজে আসা যাক। প্রথমে এখান থেকে ডাউন লোড করে নিন Talking Keys.   সেটআপ করুন আর দেখুন আপনার কিবোর্ড কথা বলতেছে। rar ফাইলটির পাসওয়ার্ড হিসেবে লিখুন- shipon/rubel
Untitled-1
তাহলে আর দেরি কেন? এখনি ডাউনলোড করে নিন।

এবার আপনার ব্রাউজার হয়ে যাবে IOS 7 স্টাইলের!

সবাই কিরাম আছেন? আশা করি ভালই আছেন। আমিও মন্দ নেই। আজ আপনাদের সাথে আমি অসাধারন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। পোস্টার টাইটেল দেখা অবশ্যই ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন আমি কী নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। তাহলে চলুন একটু বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। বর্তমানে আইওএস ৭ একটি জনপ্রিয় স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেম অ্যাপেল প্রেমিকদের কাছে। অনেকেই ভাবেন যে আমিও যদি এটি ব্যবহার করতে পারতাম! হ্যাঁ আপনিও পারবেন এটি ব্যবহার করতে তবে, এর জন্য আপনাকে অবশ্যই গুগল ক্রোম ওয়েব ব্রাউজারটি ব্যবহার করতে হবে। আর এটি ক্রোম এরই একটা এক্সটেনশন।
tech tutorial
যা ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি পাবেন ফুল IOS 7 আউটলুক। আপনি যখন নতুন ট্যাব খুলবেন ক্রোমে তখন আপনার সামনে নতুন ধরনের একটা পেজ আসবে যার আউটলুক হবে পুরোপুরি আইওএস ৭ এর মতন। এখানে আপনি নতুনভাবে আপনার পছন্দের ওয়েবসাইট যোগ করে নিতে পারবেন। নিচের মেনুবার থেকে App Store এ গিয়ে আপনি আপনার পছন্দের অ্যাপস টিও যোগ করে নিতে পারেন। এ ছাড়াও রয়েছে সেটিংসে গিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করতে পারবেন আপনার মনমত আইকন সেট করতে পারবেন আইকন ইমপোর্ট ও এক্সপোর্ট করতে পারবেন ডিলিট করতে, আইকনের জায়গা পরিবর্তন ও আরো আছে অনেক ফিচার।

এ সম্পর্কিত কিছু ছবি:

tech tutorial
tech tutorial
tech tutorial
 এর ডেমো চাইলে আপনি এইখানের লিংকে গিয়েও দেখে নিতে পারেন। অথবা নিচের ভিডিও সাহায্যে নিতে পারেন।
Download This Extension
তাহলে আর দেরি কেন? যার যার দরকার নিয়ে নেন। IOS7 না চালাতে পারেন কিন্তু এর বিকল্প তো রয়েছে। কিছু না হোক কথায় আছে না দুধের স্বাদ ঘোলে তো মিটানো এই। তাই কিছু না পেয়েও কিন্তু আইওএস ৭ এর মতন অনেক কিছুই কিন্তু পাচ্ছেন। আর পুরোপুরি চাইলে আইফোন ছারা উপায় নাই। আর ফ্রি জিনিসের এর থেকে বেশি কিছু আশা করা ঠিক না। অনেক কথা বলে ফেললাম। এইটি আমি নিজেও ব্যবহার করতেছি আমার কাছে তো ভালো লাগছে, তাই টিউটোরিয়ালটি শেয়ার করলাম। খন আপনাদের উপকারে আসলেই আমার এই লেখা সার্থক। কোন সমস্যা হলে জানাবেন। আর অবশ্যই কিন্তু কমেন্ট করবেন কেমন লাগল আপনার কাছে এ বিষয়টি। সবাই ভাল থাকবেন।


আমি  আপনাদের সাথে অসাধারন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। চলুন একটু বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। বর্তমানে আইওএস ৭ একটি জনপ্রিয় স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেম অ্যাপেল প্রেমিকদের কাছে। অনেকেই ভাবেন যে আমিও যদি এটি ব্যবহার করতে পারতাম! হ্যাঁ আপনিও পারবেন এটি ব্যবহার করতে তবে, এর জন্য আপনাকে অবশ্যই গুগল ক্রোম ওয়েব ব্রাউজারটি ব্যবহার করতে হবে। আর এটি ক্রোম এরই একটা এক্সটেনশন।

                                         Ios 7

যা ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি পাবেন ফুল IOS 7 আউটলুক। আপনি যখন নতুন ট্যাব খুলবেন ক্রোমে তখন আপনার সামনে নতুন ধরনের একটা পেজ আসবে যার আউটলুক হবে পুরোপুরি আইওএস ৭ এর মতন। এখানে আপনি নতুনভাবে আপনার পছন্দের ওয়েবসাইট যোগ করে নিতে পারবেন। নিচের মেনুবার থেকে App Store এ গিয়ে আপনি আপনার পছন্দের অ্যাপস টিও যোগ করে নিতে পারেন। এ ছাড়াও রয়েছে সেটিংসে গিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করতে পারবেন আপনার মনমত আইকন সেট করতে পারবেন আইকন ইমপোর্ট ও এক্সপোর্ট করতে পারবেন ডিলিট করতে, আইকনের জায়গা পরিবর্তন ও আরো আছে অনেক ফিচার।
এর ডেমো চাইলে আপনি এইখানের লিংকে গিয়েও দেখে নিতে পারেন। ভিডিও সাহায্যে নিতে পারেন
DOWNLOAD
তাহলে আর দেরি কেন? যার যার দরকার নিয়ে নেন। IOS7 না চালাতে পারেন কিন্তু এর বিকল্প তো রয়েছে। কিছু না হোক কথায় আছে না দুধের স্বাদ ঘোলে তো মিটানো এই। তাই কিছু না পেয়েও কিন্তু আইওএস ৭ এর মতন অনেক কিছুই কিন্তু পাচ্ছেন। আর পুরোপুরি চাইলে আইফোন ছারা উপায় নাই। আর ফ্রি জিনিসের এর থেকে বেশি কিছু আশা করা ঠিক না। অনেক কথা বলে ফেললাম। এইটি আমি নিজেও ব্যবহার করতেছি আমার কাছে তো ভালো লাগছে, তাই টিউটোরিয়ালটি শেয়ার করলাম। খন আপনাদের উপকারে আসলেই আমার এই লেখা সার্থক। কোন সমস্যা হলে জানাবেন। আর অবশ্যই কিন্তু কমেন্ট করবেন কেমন লাগল আপনার কাছে এ বিষয়টি। সবাই ভাল থাকবেন।

ডাউনলোড করুন মাদারবোর্ডের সিডি…

সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন।সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আজ এই অতি গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট টি শেয়ার করছি। 
Driver-Realtek-ALC1200-Audio-Asus-P5Q-WinXP-32bit-64bit-Motherboard
আজ আপনাদের সাথে অনেক অনেক দরকারি একটি বিষয় নিয়ে কথা বলব তা হল মাদার বোর্ড এর সিডি নিয়ে, আমরা সবাই তো তো আর কম্পিউটার নতুন কিনি না তাই অনেক সময় মাদার বোর্ড এর সিডি পাই না আবার অনেক সময় তা হারিয়েও যায় কিন্তু অপারেটিং সিস্টেম দেওার পর মাদার বোর্ড এর সিডি ছাড়া তো কাজ ও করা যায় না।আপনার এই সমস্যার সমাধান হয়তো দিতে পারে আমার এই পোষ্ট। এর ভিতর থাকে  সাইন্ড কার্ডের মত দরকারি ড্রাইভার যা ছাড়া কম্পিউটার চালানো যায় না। সেক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর ভোগান্তির শেষ থাকে না।
এ ধরনের ক্ষেত্রে আপনি যে কোম্পানীর ডিভাইস ব্যবহার করছেন সেই কোম্পানীর ওয়েবসাইটে গিয়ে ড্রাইভার সংগ্রহের চেষ্ঠা করুন। আপনার মতো আরও অসংখ্য ব্যবহারকারীর সাহায্য করার জন্য কোম্পনীগুলো সাধারণত তাদের ওয়েবসাইটে ড্রাইভার ডাউনলোডের সুবিধা রাখে। এছাড়াও ইন্টারনেটে বহু ওয়েব সাইট রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের ড্রাইভার ডাউনলোডের সুবিধা দিয়ে থাকে। সেখান থেকেও আপনি সাইন্ড কার্ডসহ অন্যান্য ডিভাইসগুলোর ড্রাইভার সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
একেবারে আনাড়ি হলে ইন্টারনেটে www.google.com  এ গিয়ে এর সার্চ বক্সে আপনার মাদারবোর্ডের নাম লিখে সার্চ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে উক্ত ড্রাইভারটি ডাউনলোড করার সাইট আপনি পেয়েও যেতে পারেন। ড্রাইভার ডাউনলোডের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সাইটের মধ্যে আছে:
2013-11-04_034928এখানে কিছু সাইট এর কথা বলা হল আপনি চাইলে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।আর আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুকে এই পোষ্ট টি শেয়ার করুন এতে হয়তো তার এই সমস্যা টি সে সমাধান করতে পারবে। কারন অনেকেই তো এই ব্লগ ভিজিট করে না।

আর একটি কথা হল আপনারা যারা তাঁদের মাদারবোর্ডের নাম জানেন না, তারা run অপশন এ গিয়ে টাইপ করুন dxdiag এরপর এন্টার প্রেস করুন। মাদারবোর্ডের মডেল সহ অনেক কিছু দেখতে পারবেন ।
আশা করি এই পোষ্ট টি আপনার কাজে আসবে।এই পোষ্ট টি আপনার কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না।
আরেকটি কথা এই পোষ্ট সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন,কৌতুহল,জিজ্ঞাসা বা অন্য যেকোন কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করুন বা ফেইসবুকে ইনবক্স করুন।
facebook page . www.facebook.com/shiponb1


▫▪আপনারা সবাই ভাল থাকুন;আমাদের সাথে থাকুন,নিজে জানুন অন্যকে জানান।▪▫

avast! Internet Security 2014। সাথে ২০১৬ পর্যন্ত লাইসেন্স ফাইল একদম ফ্রি!!

কেমন আছেন বন্ধুরা ? আশা করি ভাল আছেন

ভাল না থাকলেও আজকের পোস্ট দেখে নিশ্চয় ভাল হয়ে যাবেন হাহাহ :lol: কারণ আজ দিচ্ছি avast! Internet Security 2014। এবং সাথে ২০১৬ পর্যন্ত লাইসেন্স ফাইল !  :roll:   তাও একদম ফ্রি তে !!  ;-) বিশ্বাস হচ্ছেনা না কি ? বিশ্বাস না হওয়ার কোন কথা না আসলেই আমি সত্যি বলছি ;-)
avast-2014 ww
অ্যাভাস্ট ইন্টারনেট সিকিউরিটির নিয়ে কিছু বলতে হবে আপনাদের ? যদি বলেন তাহলে বলি?  8-) আমি জানি আপনারা বলেবেন না অ্যাভাস্ট নিয়ে কিছু বলার প্রয়োজন নাই :P বলবেন যেটা তা হল ভাই ডাউনলোড লিংক দেন কিচ্ছা শুনতে চাই না :-D   যাইহোক আমিও হেন তেন এটা সেটা বলে পোস্ট লম্বা করতে চাই না !
প্রথমে =এখান= থেকে avast! Internet Security 2014  ৩০ দিনের ট্রায়েল ভার্সন ডাউনলোড করে নিন।
ডাউনলোড করে নরমাল নিয়মে ইন্সটল করুন পিসি বা ল্যাপটপে।
এখন নিচে দেয়া ২ টা লিংক থেকে (avast!2014 BIM) নামে লাইসেন্স ফাইল টি ডাউনলোড করে নিন
ডাউনলোড লিংক ১ > ziddu.com
ডাউনলোড লিংক ২ > arabloads.com
এখন অ্যাভাস্ট রেজিস্ট্রেশন অংশে যাবেন এবং>> insert license file << ক্লিক করে ডাউনলোড করা লাইসেন্স ফাইল ( avast!2014 BIM) টা লোড করে দিন অ্যান্ড ইঞ্জয় করুন avast! Internet Security 2014 ২ বৎসর ২০১৬ পর্যন্ত  :-D !!
যারা এখন ও বুঝতে পারতেছেন না কেমন করে অ্যাভাস্ট রেজিস্ট্রেশন করবেন লাইসেন্স ফাইল দিয়ে আপনারা নিচের চিত্র দেখুন, আশা করি বুঝতে পারবেন ।
untitled aaaa 11
খুশি তো ? আর যদি কোন প্রবলেম হয় তাহলে অবশ্যই জানাবেন সমাধান দেয়ার চেষ্টা করবো ! যদি না জানান তাহলে সমাধান কেমনে দিব বলেন ? তাহলে পোস্ট টা কেমন লাগল , বা অ্যাভাস্ট ২০১৪ সম্পর্কিত কোন জিজ্ঞাসা থাকলেও জানাবেন নিচের কমেন্ট বক্সে :)

মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০১৩

পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ও বিলাসবহুল কিছু গাড়ি

আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ও বিলাসবহুল কিছু গাড়ি। গাড়ি এবং বাইক পছন্দ করেন অনেকেই। তবে ইচ্ছা থাকা সত্তেও আমরা অনেকেই এই ইচ্ছে পূরণ করতে পারি না। কারণ এই গাড়ি গুলোর দাম আমাদের অনেকেরই ধরা ছোয়ার বাইরে। তবে সপ্ন দেখতে কি দোষ! আর সপ্ন যে পূরণ হবে না এটাই বা আপনি কেমনে বলতে পারেন! নিচে পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ও বিলাসবহুল কিছু গাড়ি এবং তার মূল্য দেওয়া হল... 

1. Bugatti Veyron $1,700,000.


 

2. Lamborghini Reventon $1,600,000.


 

 3. McLaren F1 $970,000.


 

4. Ferrari Enzo $670,000.


 

5. Pagani Zonda C12 F $667,321.


 

6. SSC Ultimate Aero $654,400.


 

7. Saleen S7 Twin Turbo $555,000.


 

8. Koenigsegg CCX $545,568.


 

9. Mercedes Benz SLR McLaren Roadster $495,000.



10. Porsche Carrera GT $440,000.


কিনবেন নাকি একটা? আমার কিন্তু ৩ নাম্বার টা কেনার ইচ্ছা করছে। আপনার কোনটা ভাল লাগলো? নিচের কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানান...